খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির এপ্রিল মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে জুম প্রযুক্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, জেলায় করোনা শনাক্তের হার ১২ শতাংশ।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আইসিইউ ও রেড-ইয়োলো জোন মিলিয়ে ৮০জন রোগী ভর্তি আছেন। এখানে সম্প্রসারিত করোনা ওয়ার্ডের জন্য ১৫ জন ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় জলবল প্রদায়ন করা হয়েছে। আরটি-পিসিআর যন্ত্রে পরীক্ষার পাশাপাশি করোনা শনাক্তে খুলনায় কয়েক দিনের মধ্যে এন্টিজেন পরীক্ষা চালু হবে। কৃষিসম্প্রসারণ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলায় এবছর ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

যার ২০ শতাংশ ইতোমধ্যে কাঁটা হয়েছে। জেলায় সাত হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। লকডাউনে কৃষিপণ্য পরিবহণ নির্বিঘœ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ ‘হাতের মুঠোয় কাঁচা বাজার’ এর মাধ্যম লকডাউনে ভ্রাম্যমান যানে সঠিক মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। সমাজসেবা দপ্তরের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ভাতার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একাউন্ট খোলার কাজ চলছে। এপর্যন্ত একলাখ সাত হাজার সুবিধাভোগীর একাউন্ট খোলা সম্পন্ন হয়েছে।

বাকীগুলো দ্রুত খোলা হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসণ প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেলার সকল টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতির মাত্রা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া লকডাউনে উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিকদের চলাচল নির্বিঘœ রাখা, খানাজাহান আলী ব্রীজ সংলগ্ন সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়নে দুর্ঘটনা প্রবণ রেল ক্রসিং বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাকালে সকল উন্নয়ন কাজ নির্বিঘ্নে করতে হবে।

সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিক লকডাউনের আওতামুক্ত। এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সাথে সমন্বয় করা হবে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সার্বিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া সভাপতি প্রতিটি উপজেলায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ পরিদর্শন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা দেন। সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইউসুপ আলীসহ সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যরা জুমে যুক্ত ছিলেন।